মুসলিম উম্মাহ হেদায়াত ও কল্যাণের পথপ্রদর্শক নির্বাচিত জাতি। ইসলাম শিক্ষা ও জ্ঞানের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। মহানবী (সা.)-এর প্রথম ওহি ছিল “পড়ো”। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি একজন শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি”। তাই সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। ইসলামি শিক্ষা মানবজাতির ইহকাল ও পরকালের সফলতার পথ দেখায়।
১২৮৩ হিজরিতে ভারতের উত্তর প্রদেশে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ধারার অনুকরণে বাংলাদেশসহ বহু দেশে ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। ১৪৪৫ হিজরি/২০২৪ সালে চট্টগ্রামে জামিয়াতুন নূর আল-আলমিয়াহ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ও মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষার মান রক্ষায় এটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই ধারার অন্যতম একটি আধুনিক, পরিশীলিত ও সময়োপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৪৪৫ হিজরি মোতাবেক ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় জামিয়াতুন নূর আল-আলমিয়াহ বাংলাদেশ। এই প্রতিষ্ঠানটি দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি ও শিক্ষা দর্শন অক্ষুণ্ন রেখে যুগের প্রয়োজন অনুযায়ী দীনী শিক্ষাকে আধুনিক, পরিশীলিত ও জ্ঞানভিত্তিকভাবে উপস্থাপন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের লক্ষ্য হলো—ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন যোগ্যতায় গড়ে তোলা, যারা ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ প্রতিভা ও দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে আসবে। পথচলা সহজ ছিল না। নানা প্রতিকূলতা, সংকট এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে ‘জামিয়াতুন নূর’-এর শুভ সূচনা হয়। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একের পর এক ঝড় আমাদের পরীক্ষায় ফেলেছে। কিন্তু কিছু পরিশ্রমী, মুখলিস, আল্লাহভীরু মানুষ ও সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের দিকনির্দেশনায়, ত্যাগ ও ভালোবাসায় এই কাফেলা আজও এগিয়ে চলেছে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে।
জামিয়াতুন নুর আল আলামিয়্যাহ বাংলাদেশ প্রথম শিক্ষাবর্ষে হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় দাওরায়ে হাদিস/তাকমিল শ্রেণি থেকে ৪১ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৪জন মুমতাজ (সর্বোচ্চ মেধা তালিকা) অর্জন করে। এছাড়াও জামিয়ার বার্ষিক পরীক্ষায় প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আশাব্যঞ্জক ভালো ফলাফল অর্জন এবং শিক্ষা সমাপনকারী সকলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন খেদমত ও কর্মস্থলে যুক্ত হয়েছেন। মহান আল্লাহ জামিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদেরকে ভরপুর তাওফিক দান করুন। আমাদের চ্যালেঞ্জিং পথচলায় দীন-দরদি মুসলমান ভাইবোনদের সবসময় পাশে চাই। আল্লাহ সকলের যাবতীয় নেক-আমল কবুল করুন।
মহান আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা রেখে এবং সময়ের বাস্তবতা বিবেচনায় জামিয়া নিম্নোক্ত বিভাগ ও ক্ষেত্রসমূহকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী ও দীনী খেদমতের জন্য প্রস্তুত করতে চায়: